স্বদেশ ডেস্ক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো এনামুর রহমান বলেছেন, বন্যার কারণে দেশের ১৪ জেলায় এ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ২৮ জেলায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৫ জন, মানে প্রায় ৬১ লাখ। সম্প্রতি সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। উজান থেকে নেমে আসা পানি ও দেশের ভেতরে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়; যা ক্রমান্বয়ে ২৮ জেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যাকবলিত হয়। তিনি বলেন, এর মধ্যে বন্যায় সুনামগঞ্জে ২, গাইবান্ধায় ৮, শেরপুরে ১১, বান্দরবানে এক, নেত্রকোনায় এক, লালমনিরহাটে এক, কুড়িগ্রামে ১৪, চট্টগ্রামে ৫, সিরাজগঞ্জে ৪, জামালপুরে ২২, টাঙ্গাইলে ৩, ফরিদপুরে এক, মাদারীপুরে এক ও মানিকগঞ্জে একজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পানিতে ডুবে ৬৭ ও নৌকা ডুবে ৮ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে শিশু ৫৬, পুরুষ ১৩ ও মহিলা ৬ জন। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোনা, শেরপুর, টাঙ্গাইল, জামালপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬০ লাখ ৭৪ হাজার মানুষ: সংবাদ সম্মেলনে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সর্বশেষ রোববার পর্যন্ত বন্যায় ২৮ জেলার ৬০ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৫ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ২৮ জেলার ১৬৩ উপজেলা, ৪৯ পৌরসভা, ৯৬১ ইউনিয়ন এবং ৬ হাজার ৫৩টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।বন্যায় ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৭৮ ঘরবাড়ি, ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৩ একর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪৫টি গবাদিপশু, ২২ হাজার ৩৩৯টি হাঁস-মুরগি মারা গেছে বন্যায়। এছাড়া ৪ হাজার ৯৩৯টি শিক্ষা বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ৭ হাজার ২৭ কিলোমিটার সড়ক, ২৯৭টি ব্রিজ বা কালভার্ট, ৪৫৯ কিলোমিটারে বাঁধ, ৬০ হাজার ২৮৯টি টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।